মহাবিশ্বে মহাকাশে

20151119_172406

“মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল -মাঝে।
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে,ভ্রমি বিস্ময়ে ।।”

বহির্বিশ্বে পৃথিবীর সমতুল সাত সাতটা  গ্রহের সন্ধান দিয়েছে নাসা। প্রাণ আছে কি? থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেনা কেউ। কারণ তিনটে গ্রহ আবার habitable zone এ! অনেকদিন পর  আবার মনে হল রাতের তারা ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি।চল্লিশ আলোকবর্ষ দূরে কেউ একজন আমাদের জন্যে অপেক্ষারত,ভাবনাটা হয়ত বা কোনো একদিন সত্যি হয়ে উঠবে কে বলতে পারে! আমরা এই মহাবিশ্বে একা নই এটাই যে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে।খবর টা শোনার পর থেকেই  একধরনের উত্তেজনা বা excitement হচ্ছে।খুব জানতে আগ্রহ হচ্ছে কেমন প্রাণ থাকতে পারে! আচ্ছা আমাদের মতো কি হবে? কল্পবিজ্ঞানের কাহিনীর মত একচোখো প্রাণী না সবুজ মানুষ না অন্য কিছু? ঈশ্বরই যদি স্রষ্টা ( সন্দেহ যদি না করি) তবে সেই সৃষ্টি  সেখানে কেমন? মানুষ ই কি সর্বোত্তম সৃষ্টি? না   সে সৃষ্টি কল্পনার অগোচর! এত গেল আমাদের ছোট জিজ্ঞাসা।   আমরা এলাম কোথা থেকে, এই মহাবিশ্ব এল কোথাথেকে। এর শুরু কোথায়  ,শেষ আছে কি? সব   তালগোল  পাকিয়ে যাচ্ছে ।রহস্যময় এই মহাকাশ। ভাবলে অবাক লাগে এই  মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্ব কত অকিঞ্চিৎকর ,ক্ষুদ্র! তবু   এক মুহূর্তের জন্যে ও এই সত্যটাকে আমরা মনে রাখিনা ।

ধরা ছোঁওয়ার মধ্যে অন্য সত্যি টাও হেলাফেলার নয় । আমরা মহাকাশের মহাকালের বিচারে ক্ষুদ্র ।   ক্ষুদ্রাতীত ক্ষুদ্র আমাদের শরীরের কোষ।আমাদের মধ্যেই সুপ্ত ক্রোমোজম। অসীম সম্ভাবনার খসড়া নিয়ে। তাকেও বোঝার চেষ্টার অন্ত নেই। ক্লোনিং করে খোদার ওপর খোদকারী করে বিচিত্র প্রাণের সৃষ্টি ! কোষবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এক নীরোগ জীবনের জন্যে কত  সাধনা ।  বিজ্ঞান যত অগ্রসর হচ্ছে ততই বিস্মিত আমরা। বিজ্ঞান কে এক কথায় অমৃত ভাণ্ডারের সঙ্গেই বোধহয় তুলনা করা যায়। এর  স্বাদ যে পেয়েছে   সেই বোঝে তার অতু্লনীয় সম্ভাবনার কথা।  বছর দুই তিন  আগে একটা বই পড়তে পড়তে  মুগ্ধ হয়েছিলাম। অনুবাদ যদিও।  মণি ভৌমিকের লেখা, অনুদিত নাম  ” বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত”। যার মূল বই টি হল “Code name God: The spiritual Odyssey of a man of Science”. বিজ্ঞান  আর ঈশ্বর চেতনা এই দুইএর কোন  বিভেদ  নেই। এই উপলব্ধি তাঁরই হতে পারে যার বিজ্ঞান সাধনা  আর দর্শন একাকার।অনেক অমুল্য উপলব্ধি ,জীবন দর্শন, বিজ্ঞান আর জীবন যুদ্ধ সব মূর্ত হয়ে উঠেছে লেখায়।   পদার্থ বিজ্ঞানের   কিছু   ব্যাখ্যা  বোধগম্য হয়েছে, কিছু হয়নি , তাতে মুল স্বাদের কিছু হেরফের হয়নি। সময় পেলে একবার পড়ে দেখতে পারেন। ভাবছেন হয় তো, অপ্রাসঙ্গিক কিছু  কথা বলে ফেললাম। না, বরং এই মহাবিশ্বে আমরা  কোন সুতোয় বাধা, সেই অদৃশ্য, অমোঘ শক্তির উপলব্ধির কিছুটা হয়ত করা সম্ভব হবে।

http://nasa.tumblr.com/post/157579604399/largest-batch-of-earth-size-habitable-zone

6 Comments Add yours

  1. jayatisblog says:

    Thanks Susmita 🙂 🙂

    Like

  2. Susmita Laskar. says:

    Khub bhalo laglo pore – bhalo laglo eto sundor bhabnar , chetonar khonj peye . Nijeder choto gonditukur modhye thekei amra jeeboner sukh- dukhho niye mete thaki – osheem er majhe amader ei ostitwo kototukuuu. Tobe ei mahabishwe je sthaan peyechi etai porom bismoyer ebong anonder.
    Aro sundor bhabnar choa pabar ashay roilam.

    Like

  3. jayatisblog says:

    Thank you Krishna 🙂 তোর ভাল লেগেছে পড়ে এই আমার কাছে অনেক । 🙂

    Like

  4. Krishna chakrabarti says:

    Sundor lekha.. Bigyan ar Darshan er mishele swadu rachana.. Lekhikar jonyo anek shuvechha roilo.. Aro sundor sundor tuk- tak er pratyashay roilam..

    Liked by 1 person

  5. jayatisblog says:

    Thanks Suman 🙂 …মায়ার খেলা বোধহয় একেই বলে। আমরা জানি আমাদের হাতে কিচ্ছু নেই তবু …স্বপ্নের প্রাসাদ গড়ি,মান অভিমান সব নিয়ে চলি। অবশ্য সব সার সত্য জানলে সংসারে মন টেঁকানো কঠিন। 🙂 🙂

    Like

  6. khub bhalo laglo porey. you are equally versatile in both the languages.
    Satyi our universe is a mystery. If there is life in those other planets and who created them or if God created life in other planets then who created God to start with!
    Whilst our home is more than 4 billion years old, we make so much fuss about our own life of few years. raag- abhiman- khoon-jhogra …and most of the time forget to live.

    Liked by 1 person

Leave a comment